এবার দুশো গোল দেবো : চা চক্রে দাবী রাজ‍্য বিজেপি সভাপতির

22nd February 2021 9:51 am বাঁকুড়া
এবার দুশো গোল দেবো : চা চক্রে দাবী রাজ‍্য বিজেপি সভাপতির


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  'লোকসভাতে দেড় ডজন গোল দিয়েছি, এবার দু'শো গোল দেবো'। মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি, সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সোমবার বাঁকুড়ার কোতুলপুর নেতাজী মোড়ে দলীয় চা চক্রে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এই মন্তব্য করেন। অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, বঙ্গবন্ধু নয়, জীবন্ত উদাহরণ রয়েছেন লালু প্রসাদ যাদব। উনি (মুখ্যমন্ত্রী) যদি সেটা চান হবে। সবে তো সিবিআইএর হাত পৌঁছেছে। 

রাজ্যের তরফে পেট্রোল ডিজেলের দাম কমানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আরো কমান, তবে ভোটের জন্য কমাবেননা। মানুষের কষ্ট কমানোর জন্য কমান'।

বহুচর্চিত রাজ্যের নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে, আমরা বিরোধীতা করছি। কেন হবে বাংলা? উনি দেশ ভাগের ইতিহাস ভুলিয়ে দিতে চাইছেন। শ্যামাপ্রসাদের ইতিহাস ভুলিয়ে দিতে চাইছেন। এই 'চক্রান্ত' তারা সফল হতে দেবেননা বলে তিনি দাবি করেন।

অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি কটাক্ষ করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, 'এখন বলছেন আমি আপনার বাড়ির মেয়ে, পরে বলবেন আমি আপনার বাড়ির ঝি, আমাকে ভোট দিন। কি বাকি রেখেছেন উনি? '

কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের পাওনা টাকা নিয়ে বারবার সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। এনিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, 'এ সরকার হিসাব দেয়না, তাই পরের টাকা আসেনা'। উনি পাওনা আর পাওয়া টাকার হিসাব দিন। দলের কর্মীদের খাওয়ার জন্য কেন্দ্র কোন টাকা দেবেনা বলে তিনি স্পষ্ট করে দেন।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।